শিরোনাম | লীলাবতী – হুমায়ূন আহমেদ |
---|---|
লেখক | হুমায়ূন আহমেদ, |
প্রকাশনী | অন্যপ্রকাশ |
ISBN | 9789845026833 |
সংস্করণ | ৮ম মুদ্রণ, ২০২০ |
পৃষ্ঠা | ২৪০ |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
একটি পুরুষের শরীরে একটি জলপদ্ম ফুটে উঠেছে। জলপদ্মটি পানির উপরিভাগ থেকে এক ফুট উঁচু। হঠাৎ এক দমকা বাতাস এসে ফুলটিকে তিন ফুট দূরে সরিয়ে নিয়ে পানির সংস্পর্শে নিয়ে গেল। পুকুরের গভীরতা নির্ণয় করো।
এই ধরনের অনেক অঙ্ক আমি শৈশবে পাটিগণিতের বইয়ে দেখেছি। প্রতিটি অঙ্কের শেষে একটি নাম লেখা থাকত—লীলাবতী। কিন্তু কে এই লীলাবতী? অঙ্কের সঙ্গে তার সম্পর্ক কী? অনুসন্ধানে জানা যায়, সপ্তম শতকের বিখ্যাত গণিতজ্ঞ ভাস্করাচার্যের একমাত্র কন্যার নাম ছিল লীলাবতী।
বিয়ের আগেই বরপক্ষ মেয়েটির কপালে বৈধব্য যোগের অজুহাত দেখিয়ে বিয়ে ভেঙে দেয়। মেয়ে যখন গভীর দুঃখে ডুবে ছিল, ভাস্করাচার্য প্রতিশ্রুতি দিলেন যে তিনি এমন কিছু করবেন যাতে লীলাবতীর নাম যুগ যুগ ধরে মানুষের মনে থাকে। সেই লক্ষ্যেই তিনি তাঁর বিখ্যাত গণিতের বইয়ের নাম রাখেন ‘লীলাবতী’।
হুমায়ূন আহমেদের মুগ্ধতা এই গল্পটিকে কেন্দ্র করেই। স্বপ্নে দেখা লীলাবতী তার মনে গভীর প্রভাব ফেলে। বহুদিন ধরে তার মনে ছিল একটি উপন্যাস লেখার ইচ্ছা—যার নাম হবে লীলাবতী। তবে হুমায়ূন আহমেদের লীলাবতী অন্য এক গল্প।
এই উপন্যাসের লীলাবতীর পিতা ভাস্করাচার্য নন, একজন সাধারণ মানুষ—সিদ্দিকুর রহমান। তার কোনো গণিতবিদ পরিচয় নেই।
লীলাবতী শুধুমাত্র একটি উপন্যাস নয়, এটি ইতিহাস, গণিত, এবং মানবিকতার এক অসাধারণ মিশ্রণ। হুমায়ূন আহমেদের অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি এবং বর্ণনার দক্ষতা এই বইকে একটি বিশেষ স্থান দিয়েছে। এটি একটি অবশ্যপাঠ্য বই যা আপনাকে ভাবতে এবং অনুভব করতে শেখাবে।
Reviews
There are no reviews yet.