আগুনের পরশমণি : হুমায়ূন আহমেদ

আগুনের পরশমণি : হুমায়ূন আহমেদ :

• লেখক: হুমায়ূন আহমেদ
• প্রকাশক: পত্রভারতী
• আইএসবিএন: 9789395635752
• প্রকাশিত সংস্করণ: ১ম প্রকাশিত, ২০২৪
• পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১১৯
• দেশ: ভারত
• ভাষা: বাংলা

বইয়ের প্রথম অংশ:

মতিন সাহেব ঘড়ি দেখলেন। কারফিউয়ের সময় দ্রুত এগিয়ে আসছে। ছেলেটি কি ডাক্তার নিয়ে আসবে না? তাঁর নিজেরই কি যাওয়া উচিত? আশেপাশে ডাক্তার কে আছেন? একজন লেডি ডাক্তার এই পাড়াতেই থাকেন। তার বাড়ি তিনি চেনেন না। কিন্তু খুঁজে বের করা যাবে। সেটা কি ঠিক হবে? গুলি খেয়ে একটি ছেলে পড়ে আছে!… ছেলেটার যদি কিছু হয়?…

পটভূমি:
ঢাকা, বাংলাদেশ। সময়কাল: ১৯৭১।

Aguner Poroshmony বইয়ের মূল বিষয়:

“আগুনের পরশমণি” একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস, যা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত। বইটির মূল চরিত্র মতিন সাহেব, যিনি এক সংঘাতময় পরিস্থিতিতে একটি গুলিবিদ্ধ ছেলেকে উদ্ধার করতে চেষ্টা করছেন। সময়কালটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল পরিবেশে, যেখানে প্রতিটি মুহূর্তে সংকট এবং জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ। এই বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মানুষ এবং তাদের অনুভূতির গভীরতা ফুটে উঠেছে।

বইয়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্য:

• ইতিহাসের সাথে সংযোগ:
  এই উপন্যাসে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ এবং সেই সময়কার সামাজিক এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রতিফলিত হয়েছে।
• মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি:
  এই উপন্যাসে মানবিকতা এবং সহানুভূতির চিত্রই প্রধান, যেখানে মতিন সাহেব গুলি খাওয়া ছেলেটির প্রতি তার দায়িত্ববোধ এবং সহানুভূতির পরিচয় দেন।
• সামাজিক দায়বদ্ধতা:
  মুক্তিযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে একটি মানুষের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং তার নিজের সীমাবদ্ধতা, দুইয়ের মধ্যে একটি ভাঙা সেতুর মত উপস্থাপন করা হয়েছে।

পাঠকদের জন্য বার্তা:

“আগুনের পরশমণি” একটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার থ্রিলার, যা পাঠকদের মানবিকতা, সহানুভূতি এবং দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার শিক্ষা দেয়। এটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবতা এবং প্রতিটি মানুষের লড়াইকে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবে তুলে ধরে।